সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বামী-স্ত্রী সমবয়সী হলে ভবিষ্যতে কী কোনো ধরনের সমস্যা হয়? 

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১ ১১ ০১  

স্বামী-স্ত্রী-সমবয়সী-হলে-ভবিষ্যতে-কী-কোনো-ধরনের-সমস্যা-হয় 

স্বামী-স্ত্রী-সমবয়সী-হলে-ভবিষ্যতে-কী-কোনো-ধরনের-সমস্যা-হয় 

সমবয়সী প্রেম বা বিয়ে নতুন কিছু নয়। অনেকেই সঙ্গী হিসেবে সমবয়সী মানুষকে বেছে নেন। তবে এই রকম ক্ষেত্রে অনেকেরই আগে থেকে জানাশোনা থাকে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন প্রেমের সূত্রপাত হয়। পরে একটা সময় পরিণয়। 

অবশ্য এর বাইরে যে সমবয়সী বিয়ে হয় না, এমনটা নয়। সমবয়সী বিয়ের অনেক সুবিধাও রয়েছে। অনেকেই জীবন সঙ্গীকে পেতে চান বন্ধু হিসেবে। ফলে সমবয়সী কাউকে খুঁজেন। আবার এর বাইরে এমন বিয়ের নানা রকম সমস্যাও রয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকেন সমবয়সী বিয়ের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই যেন বেশি। অবশ্য এই দ্বিমত রয়েছে অনেক।

সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখতে পায়, যা বিষিয়ে তুলতে পারে দাম্পত্য জীবনে। জীবনের সর্বাঙ্গীন সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতায় সমান ভাগিদার খোঁজা। তাই সমবয়সীদের মাঝে বিয়ের ব্যাপারটা ইদানীং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের দ্বিগুণ হওয়াটা বেশ কিছুদিন আগেও ছিল স্বাভাবিক বিষয়। সময়ের পরিবর্তনে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে বয়সের কম ব্যবধানে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিয়ে মানে এখন শুধু সন্তানের জন্য নয়। অনেক সময় দেখা যায়, সমবয়সী পুরুষ নারীর কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। 

যেহেতু নারীটি ঐ পুরুষ থেকে পরিণতমনস্ক, সেই কারণে তার থাকে দিদিগিরি। অচিরেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের সংঘাত। আবার এমনও হয়, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা মেয়েটির নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না পুরুষটির। মেয়েদের যেহেতু পারিপার্শ্বিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি। ছেলেটির তুলনায় মেয়েটি যখন বেশি সচেতন তখন তা হয় দাম্পত্য জীবনে মতভেদ, জটিলতা ইত্যাদির কারণ হয়। 

একে অপরকে যথাযথ সম্মান দিতে নারাজ। আবেগের ভাটা পড়লে সম্পর্কের পরণতি হয় ডিভোর্সে। তবে এই সংঘাতের মধ্যদিয়ে কেউ টিকে গেলে আসে আরেক ঝামেলা। দুজনেরই বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। নারীদের জীবনে এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। নানা স্বাভাবিক সঙ্কট তৈরি হয় এ সময়। সন্তান ধারনের ক্ষমতা হারায়, স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনিচ্ছা, ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে। 

একইসঙ্গে চলে মানসিক সমস্যা। এসবে তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তারা ভাবতে শুরু করে, তার দেয়ার আর কিছু নেই। মনে চলে আসে বিষণ্ণতা। প্রাকৃতিক কারণে আগে পরিণত হওয়ায় নারীকে আগেই বার্ধক্য গ্রাস করে ফেলে। একই বয়সে পুরুষটি তখন টাট্টু ঘোড়া। মধ্য-দুপুরে পুরুষটি তখন নিদারুণ অসহায়। দিশেহারা পুরুষের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব। অশান্তিতে শুরু হয় ডিভোর্সের সম্ভাবনা। সমবয়সে বিয়ে বিয়ে করা মানে অশান্তিকে দাওয়াত দেয়া। 

পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর এবং বেশি হলে ৮ বছরের মধ্যে থাকা উচিত। ব্যতিক্রম ঘটনা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আলোচনার মধ্যে আসতে পারে না। ব্যতিক্রম সবসময়ই ব্যতিক্রম। তাই কিছু সমবয়সী দম্পতিও হতে পারেন দারুণ সুখী।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী